নভেম্বর মাসের বাকি দিনগুলোতে দক্ষিণবঙ্গের সর্বনিম্ন পারদ ১৭ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করার সম্ভাবনা । পাকিস্তান – ভারত সীমান্তের উপর একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এর মধ্যে । যার প্রভাবে মাসের শেষের দিকে উত্তুরে হাওয়ার দাপট সাময়িক ভাবে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে । কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ থেকে পারদ নিম্নগামী হতে শুরু করবে । ডিসেম্বর মাস জুড়ে পারদ ১৫-১৬ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করার সম্ভাবনা। বর্ষ শেষের দিকে পারদ ১-২ ডিগ্রি কমতে পরে ।

জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পারদ আরও একটু নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনা যদি না মাঝে কোনো ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয় সাগরে । গত বছরের মতো এবছরও ঠান্ডা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রেকর্ড পারদ পতনের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

উত্তরবঙ্গ জুড়ে পারদ স্বাভাবিক থাকার সম্ভাবনা। দার্জিলিং সংলগ্ন অংশে পারদ গতবছরের থেকে কম থাকার সম্ভাবনা । দেশের উত্তর অংশে বিশেষ করে হিমালয় সংলগ্ন অংশে এই বছর ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে । ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তরপূর্ব ভারতের হিমালয় সংলগ্ন অংশে।

ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ঠান্ডায় প্রভাব পরার একটা সম্ভাবনা রয়েছে । এখানে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সম্পর্কে একটু বলে রাখি । পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হল ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা এবং ভারী বায়ু। কাশ্মীর দিয়ে তা ভারতে ঢোকে এবং তার পরে মধ্য ভারত দিয়ে পূর্ব ভারতে বয়ে যায় কিংবা কখনও কখনও উত্তরাখণ্ড হয়ে নেপালের দিকে চলে যায়। এই ধরনের ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মীরে, হিমাচল প্রদেশে তুষারপাত হয় এবং বৃষ্টি হয় উত্তর-পশ্চিম ভারতে। সেই সময় উত্তুরে হাওয়া বাধা পায়। ঝঞ্ঝা যদি মধ্য ভারত হয়ে পূর্ব ভারতে বয়ে আসে, তা হলে এই অঞ্চলেও বৃষ্টি নামে এবং শীত কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে।

একটা কথা এখানে বলে রাখি এই বছর কুয়াশার প্রভাব উত্তর ও পূর্ব ভারত জুড়ে অধিক থাকবে ।

✒️ Nature and Weather World

শীতের প্রভাব

Photo Gallery

Get A Quote

[contact-form-7 id="7c0c075" title="Contact form 1" html_class="rd-mailform1"]