“ভূগর্ভস্থ জল” সংকট
দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলতে তুলতে আমরা এমন অবস্থায় এসে পৌঁছেছি, বেশ কয়েকটি এলাকায় সারা বছর ভূগর্ভস্থ জল মেলে নামমাত্র। সেইসব জায়গায় খরার প্রকোপ বেশি। বর্তমানে জল সংকটে ব্যাঙ্গালোর, আগামীদিনে দেশের আরও ৬টি শহর বিপদে রয়েছে তারা হল দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, জয়পুর, ভাতিন্ডা, লখনউ। পিছিয়ে নেই কলকাতা সহ পূর্ব ভারতের শহর গুলোও।

বিশ্বে সেচযুক্ত যত কৃষিজমি রয়েছে, তার অন্তত ৩০% ভারতে, ফলে সেচের জন্য বিপুল পরিমাণ ভূগর্ভের জল ব্যবহার করা হচ্ছে, সারা দেশে যে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হয়, তার ৭০% আসে ভূগর্ভ থেকে। ফলে ভূগর্ভের জলের স্তর তলানিতে এসে ঠেকছে, যার প্রভাব ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিচ্ছে। কাজেই জল সংরক্ষণ না করলে আগামী দিনে এ দেশের স্থানে স্থানে যে জলকষ্ট দেখা দেবে তা বলাই বাহুল্য।

যারা গভীর নলকূপ স্থাপন করেন তাদের থেকে একটা কথা জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি । আজ থেকে ১০ বছর আগে পর্যন্ত লকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকায় ভূগর্ভের জল তোলার জন্য ৩০-৪০ ফুট বোরিং করলেই জল পাওয়া যেত। বর্তমানে ৮০ ফুট বোরিং করেও সব জায়গাতে প্রযাপ্ত পরিমাণ জল উঠছে না । বর্তমান সমীক্ষায় প্রতিবছর ১০ ফুট করে জলের স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। কারণ হিসাবে, বেহিসাবী বোরিং বিভিন্ন আবাসনের জন্য। জল সংরক্ষণের অভাব, পুকুর ডোবা বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ । সর্বোপরি উন্নয়নের নামে ঢালাই ও পাকা নির্মাণ যার ফলে শহরাঞ্চলে ফাঁকা জমি বা মাঠের আকাল।

আমাদেরই দোষে যেমন প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে ফলে বৃষ্টি অনিয়মিত হয়ে পড়ছে । প্রযাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টির জল ভূগর্ভে প্রবেশ করতে পারছে না । তেমনি যা প্রবেশ করছে তার বহুগুণ তুলে ফেলছি আমরা ।

Photo Gallery

Get A Quote

[contact-form-7 id="7c0c075" title="Contact form 1" html_class="rd-mailform1"]